পানি পান করার সঠিক সময়



আমরা যে সমস্ত খাবার গ্রহণ করি তা পরিপাকের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা অত্যাবশ্যক। যদিও বলা হয়ে থাকে যে পানির ওপর নাম জীবন তবে অবশ্যই তা বিশুদ্ধ হতে হবে। আর ব্যক্তিভেদে পানির পরিমান ভিন্ন হতে পারে। তবে পানি পান করার প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রিত হয় আমাদের মস্তিষ্ক থেকেই। তাই যখন তখন বা ইচ্ছামত পানি পান অনেক সময় ক্ষতির কারণও হতে পারে। সুতরাং মস্তিষ্ক থেকে যখন বার্তা আসে যে পানি পান করা প্রয়োজন তখনই পানি পান করা প্রয়োজন। চলুন এবার জেনে নিই পানি পান করার ক্ষেত্রে যেসকল বিষয়সমূহ মনে রাখা খুবই জরুরিঃ
📌প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠেই একগ্লাস পানি পান করা।
📌দাঁড়িয়ে পানি পান না করে বসে পান করা।
📌খাওয়ার সময় পানি না পান করে খাওয়ার আগেই অল্প পরিমান পানি পান করা।
📌 দৈনিক কমপক্ষে ২ থেকে ৩ লিটার বা ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করা।
📌ব্যায়াম বা পরিশ্রমের পূর্বে বা পরে পানি পান করা। তবে বেশি পরিমান পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।
📌গরমে বাইরে থেকে এসে হঠাৎ অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান না করা।
📌 গোসলের পূর্বে একগ্লাস কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে।
📌রাতে ঘুমানোর সময় অধিক তৃষ্ণার্ত থাকলে পানি পান করুন। কারণ অধিক ডিহাইড্রেশন হৃদরোগ যেমন হার্ট এটাক বা স্ট্রোককে প্রভাবিত করে থাকে। তবে বেশি পরিমাণ পানি পান করার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। কারণ রাতে বেশি পানি পান করলে প্রস্রাবের চাপের কারণে ঘুমের বিঘ্ন ঘটতে পারে।
📌যখন ক্লান্তি অনুভব করবেন তখন পানি পান করুন।

No comments

Theme images by rajareddychadive. Powered by Blogger.