করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে করণীয়

 

কোভিড ১৯ প্রতিনিয়ত তার বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করছে এবং সেই সাথে তা দ্বারা সংঘটিত রোগের লক্ষণেও ভিন্নতা পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে যেটা হচ্ছে সেটা হল উপসর্গবিহীন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। বর্তমানে এটিই সবচেয়ে উদ্বেগের কারণ। বড় বড় ক্ষমতাধর রাষ্ট্র বিভিন্ন ধরনের সাবধানতা মেনে চলেও এর প্রকোপ খুব একটা কমাতে পারে নি। তেমনটা ঠিক বাংলাদেশেও ঘটছে। লকডাউন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ তো ঠেকানো যায় নি বরং অর্থনৈতিকভাবে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। যেহেতু আমাদের দেশ কৃষিপ্রধান দেশ এবং অধিকাংশ লোক দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে সুতরাং ধীরে ধীরে সবকিছু চালু রাখার কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। যেহেতু এটি ভাইরাসজনিত সংক্রমণ এবং এখনও পর্যন্ত কোন কার্যকর টিকা আবিষ্কার করা সম্ভব হয় নি সুতরাং দেশের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কিছুটা হলেও এই রোগকে প্রতিরোধ করা যেতে পারে। যেহেতু পুষ্টি উপাদান এর সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে তাই এই সময়ে কিছু খাদ্য আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই আগে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কে একটু জেনে নিই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রধানত দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে এর মধ্যে প্রথমটি হল যেটি আল্লাহ প্রদত্ত এবং জন্মের সাথে সাথে লাভ করে এবং অন্যটি হল পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে লাভ করে থাকে। প্রথমটি হল নির্দিষ্ট এবং এখানে কারো কোন হাত নেই কিন্তু দ্বিতীয় ভাগের উন্নতি করার জন্য আমাদের সুষম খাদ্যাভ্যাস ও বেশ কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি। আল্লাহ যদি চান তো হয়ত এর মাধ্যমেও আমরা এই মহামারী থেকে হয়ত বেঁচে যেতে পারি। তাই আসুন আমরা দেখে নিই যেসকল উপায়ে আমরা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারি।

১. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসঃ অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে। তাই বাইরের অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার এবং পক্রিয়াজাত খাবার যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে এবং সম্ভব হলে একদম এড়িয়ে চলতে হবে। এই সময়ে ঘরে তৈরি পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। ভিটামিন এ,  ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, আয়রণ, জিংক, সেলেনিয়াম এবং ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ  বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত ফলমূল ও শাকসবজি খেতে হবে।

২. পরিমিত ঘুমঃ পরিমিত ঘুম দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ৭-৯ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। 

৩. শারীরিক পরিশ্রমঃ কথায় আছে না সুস্থ শরীরে সুস্থ মন থাকে। এই কথার সাথে বাস্তবতার মিল রয়েছে। দৈনিক কমপক্ষে ৩০ মিনিট যে কোন ধরনের শারীরিক পরিশ্রম যেমন আপনার শরীরকে করবে ফিট তেমনি মনকেও রাখবে প্রানবন্ত। যা স্থূলতাকে ছুটিতে পাঠিয়ে আপনাকে করে তুলবে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দিবে বহুগুণে। তাই যতটা সম্ভব দৈনিক একটু শারীরিক পরিশ্রম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।


No comments

Theme images by rajareddychadive. Powered by Blogger.