অটিজমে আক্রান্ত শিশুর খাদ্যাভ্যাস


ছোট্ট একটা শিশু সর্বদা চঞ্চল হবে, হাসিখুশি থাকবে এবং মেধাবী হবে এটা সবাই চায়। তবে কিছু কিছু শিশু আর দশটা শিশুর মত স্বাভাবিক থাকে না। তারা কেমন জানি সনসময় আনমনে একা একা খেলতে থাকে, কারো সাথে সেভাবে মিশে না এবং লেখাপড়ায়ও পিছিয়ে থাকে। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন আমি অটিজমে আক্রান্ত সেসব শিশুর কথাই বলছি। প্রকৃতপক্ষে অটিজম কোন রোগ নয় বরং বিশেষ কিছু পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি। তবে তা এখনও নিশ্চিতভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি। গবেষণায় দেখা গেছে ৩ বছরের কম বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে সাধারণত অটিজমের লক্ষণ ধরা পরে এবং ছেলে শিশুর আক্রান্ত হওয়ার হার মেয়ে শিশুর হারের চেয়ে বেশি থাকে। এই সমস্যার সমাধান দীর্ঘমেয়াদী একটি প্রক্রিয়া। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, যত্ন এবং ওষুধের মাধ্যমে এই সমস্যা দূর করা অনেকাংশেই সম্ভব হয়ে থাকে। খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন বলতে মূলত গ্লুটেন ও কেসিনযুক্ত খাবার বাদ দিয়ে এই সমস্যায় ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। গম, ভুট্টা ইত্যাদিতে গ্লুটেন এবং দুধে কেজিন থাকে। এই দুইটি উপাদানই এক ধরনের আমিষ। তাই খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের সময় অবশ্যই অন্য খাবারের মাধ্যমে আমিষের ঘাটতি পূরণ করতে হবে। অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার (ASD) এ আক্রান্ত অনেকে শিশুর হজমে সমস্যা হয় ফলে এই কারণেই বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পড়ে। অনেকের আবার কিছু খাবারে এলার্জি থাকে। তাই এই সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডায়েটিশিয়ান বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে।

-পুষ্টিবিদ মোঃ আকতারুল ইসলাম
প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা (পুষ্টি)
ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি)

No comments

Theme images by rajareddychadive. Powered by Blogger.