প্যাকেটজাত খাবারের পুষ্টিমান


বর্তমান সময়ে আমরা অনেকটা প্যাকেটজাত খাবারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি বা ব্যস্ততার কারণে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত খাবার খেয়ে থাকি। প্যাকেটজাত এসব খাবারের সব উপাদান সব ধরনের মানুষের জন্য সবসময় উপযোগী নাও হতে পারে।বিশেষত এসব খাবারে ফ্যাট বা চর্বি সাধারণত বেশি থাকে যা কোলেস্টেরল বেশি আছে এমন লোকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এজন্য ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন কর্তৃক একটি নির্দেশনাবলী দেওয়া হয়েছে। যা মেনে চলার মাধ্যমে প্যাকেটজাত খাদ্য আপনার জন্য কার্যকরী কি না বা আপনার কতটুকু গ্রহণ করা প্রয়োজন তা সম্পর্কে জানতে পারবেন।প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই প্যাকেটজাত খাবারের পুষ্টিতালিকা সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন।

১. শুরু করুনঃ এখান থেকে আপনি প্যাকেটজাত খাদ্যের পরিমাণগত ধারণা পাবেন। সার্ভিং নাম্বার বা পরিবেশন সংখ্যার মান থেকে আপনি ঐ খাদ্য থেকে কি পরিমাণ খাদ্যশক্তি পাবেন তা জানতে পারবেন।

২. খাদ্যশক্তির পরিমাণ দেখুনঃ এই অংশে আপনি ঐ খাদ্য থেকে মোট কত পরিমাণ খাদ্যশক্তি পাবেন তা সম্পর্কে জানতে পারবেন। উল্লেখিত ছবিতে পরিবেশন সংখ্যা দুই দেওয়া আছে তার মানে আপনাকে এই প্রদত্ত খাদ্যশক্তির মানকে দুই দিয়ে গুণ করতে হবে।তাহলে পুরো প্যাকেট থেকে মোট প্রাপ্ত খাদ্যশক্তি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

৩. এই উপাদানগুলো পরিমিত রাখুনঃ হলুদ রং দিয়ে বেষ্টিত অংশটির দিকে লক্ষ্য রাখুন।হৃদরোগ বা অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এই অংশটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ফ্যাট বা চর্বিজাতীয় উপাদানের পরিমাণ সম্পর্কে দেওয়া রয়েছে। যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি তারা এই উপাদানগুলোর প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। ঐ খাদ্য থেকে প্রাপ্ত স্যাচুরেটেড চর্বি, ট্র্যান্স ফ্যাট, কোলেস্টেরল অথবা সোডিয়াম যেন আপনার দৈনিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন।

৪. এই উপাদানগুলো বেশি রাখুনঃ সবুজ রং দ্বারা বেষ্টিত অংশটির দিকে মনযোগ দিন। এই উপাদানগুলো আপনার সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ও রোগ প্রতিরোধের জন্য খুবই উপকারি। সুতরাং এই উপাদানগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখার চেষ্টা করুন।

৫. নির্দেশিকাঃ এখানে তালিকা প্রনয়নে একটি আদর্শ মান ধরে নেওয়া হয় সেটি হতে পারে ২০০০ কিলোক্যালরি বা ২২০০ কিলোক্যালরি। বিশেষত এই মানের সাপেক্ষে দৈনিক শতকরা কত উপাদান পূরণ হবে তা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া থাকে।

৬. লক্ষ্য রাখুনঃ ঐ প্রদত্ত খাদ্যের উপাদানগুলোর কোনটি স্বল্প মাত্রায় বা কোনটি অধিক মাত্রায় রয়েছে তা এই মান দিয়ে আপনি জানতে পারবেন। ৫% বা তার কম হলে উপাদানটি স্বল্প মাত্রায় রয়েছে অন্যদিকে ২০% বা তার বেশি হলে ঐ উপাদানটি অধিক পরিমাণে রয়েছে।এই মান দেখে বিভিন্ন অবস্থায় কোন কোন খাবার আপনার জন্য উপযোগী এবং কোন কোন খাবার উপযোগী নয় তা সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা পাবেন।

-পুষ্টিবিদ মোঃ আকতারুল ইসলাম


No comments

Theme images by rajareddychadive. Powered by Blogger.