কিডনি রোগ প্রতিরোধে সাতটি করনীয় বিষয়



কিডনি রোগ একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ। এটি ধীরে ধীরে শরীরে বাসা বাঁধতে থাকে। তবে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ মেনে চললে কিডনি রোগ থেকে বাঁচা সম্ভব।

১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ কিডনিজনিত রোগে রক্তচাপের প্রভাব রয়েছে। তাই অনেক বিশেষজ্ঞরাই কিডনি ঠিক রাখতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে থাকেন।

২.ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর রক্তের গ্লুকোজের মাত্রার ওপর কিডনি রোগের প্রভাব রয়েছে। রক্তে গ্লুকোজ বেশি হলে কিডনির ওপর চাপ বেশি পড়ে। তাই ডায়াবেটিস সহনীয় মাত্রায় রাখলে কিডনিজনিত রোগ থেকে বাঁচা সম্ভব।

৩.ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ গবেষনায় প্রমাণিত যে স্বাভাবিক ওজনের ব্যক্তিদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার হার উচ্চ ওজনের অধিকারী ব্যক্তিদের তুলনায় কম। তাই ওজন যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। উচ্চতার তুলনায় আপনার ওজন ঠিক আছে কি না তা বিএমআই ক্যালকুলেটর এর সাহায্যে সহজেই জেনে নিতে পারেন।

৪.কোলেস্টেরল লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ এলডিএল কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই কিডনিরোগ থেকে বাঁচতে কোলেস্টেরল তথা ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রাণিজ খাদ্যে সাধারণত ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই প্রাণিজ খাদ্যের পাশাপাশি ফলমূল ও শাকসবজি গ্রহণের দিকে জোর দিতে হবে। লাল মাংস বা গরুর মাংস পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে এবং দৈনিক ১টির বেশি ডিম না খাওয়াই ভাল।

৫.ধুমপান পরিহার করাঃ গবেষনায় প্রমাণিত যে ধুমপান কিডনিতে রক্তের প্রবাহ কমিয়ে দেয়। পক্ষান্তরে শরীরে অধিক রক্তচাপ সৃষ্টি করে। এটি কিডনিজনিত রোগ সৃষ্টিতে অনেকাংশে দায়ী।

৬.পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি কিডনিজনিত রোগ প্রতিরোধে কাজ করে থাকে। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই থেকে তিন লিটার বা আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ব্যক্তিভেদে পানির চাহিদা ভিন্ন হতে পারে তবে খেয়াল রাখবেন যেন অধিক সময় তৃষ্ণার্ত না থাকা হয়। ।

৭.স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলাঃ কিডনিরোগ থেকে বাঁচতে হলে আপনার খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। অতিরিক্ত ভাজা পোড়া এবং অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। খাবার গ্রহণের সময় অতিরিক্ত লবণ থেকে বিরত থাকতে হবে। এরূপ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে কিডনিজনিত রোগ হবার সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে যায়।

No comments

Theme images by rajareddychadive. Powered by Blogger.