চুলপড়ায় করণীয়



অনেকে চুলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে চিন্তিত যেমন চুলপড়া, চুলের রং পরিবর্তন,চুল ভেঙ্গে যাওয়া ইত্যাদি। তবে চুলপড়া নিয়ে চিন্তিত লোকের সংখ্যাই বেশি। চলুন দেখে নিই চুলপড়ার কারণ এবং চুলপড়া প্রতিরোধে করণীয় বিষয়সমূহ।

চুলপড়ার কারণসমূহঃ
>ছত্রাক সংক্রমন
>কেমোথেরাপি
>অপুষ্টি
>হরমোনজনিত সমস্যা
>স্কালের ত্বকে রক্ত সঞ্চালনের অভাব
>বংশগত

ছেলে ও মেয়েদের ক্ষেত্রে চুলপড়ার কারণসমূহ প্রায় একই। তবুও কিছু পার্থক্য রয়েছে। সাধারণত ২০-৩০ বছর বয়সে চুলপড়া শুরু হয়।
উপরে আমরা যেহেতু চুলপড়ার কিছু কারণ সম্পর্কে জানতে পেরেছি সুতরাং আমরা চুলপড়া প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়ে গেছি। চলুন তাহলে চুলপড়া প্রতিরোধের কিছু উপায় দেখে নিই।


স্কালের ম্যাসাজঃ
যেহেতু রক্ত চলাচলের উপর চুলের পুষ্টি নির্ণয় করে সুতরাং মাথার ত্বকে নিয়মিত ম্যাসাজে ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। এর ফলে চুলে যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টি পৌঁছাতে পারে। এক্ষেত্রে চিরুনি অথবা হাতের তালু ব্যবহার করতে পারেন।এটি অনেক পরীক্ষিত একটি উপায়। মাথায় যে অংশ থেকে চুল বেশি পড়ে যাচ্ছে সে অংশে নিয়মিত ম্যাসাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।


ডিমঃ
চুলের পুষ্টিমাণ নিয়ন্ত্রণে প্রোটিন বা আমিষ অনেক কার্যকরী। তাই চুলের হারানো পুষ্টি ফিরে পেতে ডিম ভেঙ্গে মাথার ত্বকে এবং চুলে ব্যবহার করতে পারেন। হাস্যকর মনে হলেও এটি অনেক কার্যকরী।


রেড মিট বা প্রাণিজ ফ্যাট কমানোঃ 
রেড মিটে ফ্যাট বা কোলেস্টেরল বেশি থাকে যা বেশি পরিমাণ গ্রহণে চুলের ত্বকের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই প্রাণিজ ফ্যাট বা রেড মিট গ্রহণের মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখা প্রয়োজন।




থাইরয়েড জনিত সমস্যার সমাধানঃ 
আপনি যদি হাইপোথাইরোইডিজমে ভুগেন মানে আয়োডিন স্বল্পতায় ভুগেন তবে তা মাথায় ত্বক ও চুলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সুতরাং আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণে গুরুত্ব দিন। আয়োডিনযুক্ত লবণ নিশ্চিত করুন।


ভিটামিন ইঃ
ভিটামিন ই চুলের পুষ্টি সংরক্ষণে ভূমিকা রাখে। তাই চুলের পুষ্টি রক্ষায় ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার যেমন বাদাম, সবুজ শাকসবজি, লেটুস ইত্যাদির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিন।


অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারঃ
ফ্রি রেডিকেল চুলের অপুষ্টির জন্য অনেক সময় দায়ী। তাই ফ্রি রেডিকেল মুক্ত করতে পর্যাপ্ত পরিমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যেমন কলা, কমলালেবু, লেবু ইত্যাদি খেতে পারেন।


লেবুঃ
 মাথায় ত্বকে সরাসরি লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এটাও অনেকাংশে কার্যকরী।


ভিনেগারঃ
এটিও চুলের যত্নে অনেক কার্যকরী একটি উপাদান। এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।


বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবারঃ
 বায়োটিন চুলে য়ত্নে কার্যকরী একটি উপাদান। বাতাম, বাদামী আটা ইত্যাদি বায়োটিনের প্রধান উৎস। তাই এসব খাবারের প্রতি জোর দিতে হবে।

এসব বিষয়গুলো মেনে চললে আশা করা যায় আপনি চুলপড়া প্রতিরোধ করতে অনেকাংশেই সফল হবেন।
সবার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করছি।

সূত্রঃ ইন্টারনেট


No comments

Theme images by rajareddychadive. Powered by Blogger.