ডায়াবেটিসের কারণ, লক্ষণ এবং জটিলতা
এখনও পর্যন্ত ডায়াবেটিসের কোন সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে বের করতে পারেন নি চিকিৎসকেরা। তবে কিছু কিছু নিয়ামক এই রোগের সাথে জড়িত বলে তারা গবেষণার মাধ্যমে বের করতে পেরেছেন।
ডায়াবেটিসের কারণঃ
ডায়াবেটিস মূলত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত। পরিবারের কারো ডায়াবেটিস থাকলে তার ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে ডায়াবেটিসের বিস্তারে আরো কিছু নিয়ামক কাজ করতে পারে।
ডায়াবেটিসের কারণঃ
ডায়াবেটিস মূলত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত। পরিবারের কারো ডায়াবেটিস থাকলে তার ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে ডায়াবেটিসের বিস্তারে আরো কিছু নিয়ামক কাজ করতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকা, মাদক গ্রহণ করা, ধুমপান করা ইত্যাদি ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। বিশেষত শারীরিক পরিশ্রম না করার ফলে অস্বাভাবিক ওজনের অধিকারী হতে হয় যা শুধু ডায়াবেটিসই নয় অন্যান্য আরো দীর্ঘমেয়াদী রোগের কারণও হতে পারে।
মূলত ইনসুলিন অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ থেকে প্রস্তুত হয়। আমাদের দেহের শ্বেত রক্তকণিকা দেহের প্রহরী হিসেবে কাজ করে। কিন্তু কোন কারণে এই অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষকে শরীরের জন্য হুমকি মনে করে বসে। যার ফলে এই বিটা কোষকে মেরে ফেলতে থাকে। এই অবস্থাকে উচ্চ সংবেদনশীলতার প্রভাব বলা হয়ে থাকে। ফলে অগ্ন্যাশয় যথেষ্ট পরিমাণ ইনসুলিন উৎপন্ন করতে পারে না। যার ফলসরূপ ডায়াবেটিস অবস্থার সৃষ্টি হয়।
ডায়াবেটিসের লক্ষণঃ
ডায়াবেটিসের লক্ষণঃ
বর্তমান সময়ে এই রোগের জন্য কোন বয়সের বাধাধরা সময় নেই। যে কোন বয়সে যে কারো ডায়াবেটিস হতে পারে। তাই ডায়াবেটিসের লক্ষণ সম্পর্কে জেনে রাখা খুবই জরুরি। চলুন দেখে নেওয়া যাক ডায়াবেটিসের কিছু লক্ষণঃ
- ঘনঘন প্রসাব হওয়া,
- বেশি তৃষ্ণার্ত হওয়া,
- ওজন কমে যাওয়া,
- বেশি ক্ষুধা অনুভব করা,
- অল্পতে হাঁপিয়ে ওঠা,
- বিষন্নতা,
- চোখে ঝাপসা দেখা,
- ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া।
ডায়াবেটিসের জটিলতাঃ
ডায়াবেটিসকে অনেক রোগের রাজা বলা হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস হলে শরীরে এক ধরনের অসামঞ্জস্যতার সৃষ্টি হয়। ফলে বিভিন্ন ধরনের অসুখ সৃষ্টি হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস হলে সাধারণত নিম্নোক্ত সমস্যাগুলোর সৃষ্টি হয়ে থাকে।
- হৃদরোগ বৃদ্ধি
- স্নায়ুপেশী দূর্বল
- ত্বকে ভাইরাস বা ছত্রাকজনিত সংক্রমণ
- শ্রবণশক্তি হ্রাস
- চোখের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস
- কিডনিজনিত রোগ বৃদ্ধি
- শারীরিক সক্ষমতা হ্রাস
No comments