ভিটামিন ডি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা

ভিটামিন ডি ফ্যাট বা চর্বিতে দ্রবনীয় একটি ভিটামিন। ছোট বেলা থেকে এই ভিটামিনটির নাম আমরা সবচেয়ে বেশি শুনেছি। সকালের মিষ্টি রোদ থেকে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন হয় এটা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু এই ভিটামিন কখন আমাদের সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে এবং ভিটামিন ডি এর কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে আর কি কি উপাদান জড়িত এটা আমরা অনেকেই জানি না। প্রথমে চলুন ভিটামিন ডি এর উপকারিতাগুলো দেখে নিই।

ভিটামিন ডি এর উপকারিতাঃ
১.ছোটদের রিকেটস প্রতিরোধে কাজ করে।
২. বড়দের বিভিন্ন হাড়ক্ষয় যেমন অস্টিওপরোসিস এবং অস্টিওমেলাসিয়া প্রতিরোধে করে।
৩. ক্যালসিয়াম শোষণে কাজ করে।
৪. প্যারাথাইরয়েড হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
ভিটামিন ডি এর উৎসঃ
বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ যেমন কড, হাঙর, স্যালমন ইত্যাদি মাছের তেল বা চর্বিতে, ডিমের কুসুম, দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
গুরুত্বপূর্ণ কথাঃ
ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম এবং প্যারাথাইরয়েড গ্লান্ড বা হরমোন তিনটি পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত।যদি এ্ই তিনটি উপাদানের কোন একটি উপাদানের মাত্রা কম হয় তবে তা হাড়ের উপর প্রভাব ফেলে। যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন ডি গ্রহণ করলে তা প্যারাথাইরয়েড হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। আবার শুধুমাত্র ভিটামিন ডি হাড়ের যত্ন নিতে পারে না। হাড়ের পরিপূর্ণ যত্নে ক্যালসিয়ামেরও প্রয়োজন হয়। তার মানে হল আপনার হাড় ক্ষয় রোগ থাকলে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি উভয়ই গ্রহণ করা প্রয়োজন। ক্যালসিয়াম বেশি পাবেন দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার যেমন দই, ঘি, মাখন, পনির ইত্যাদিতে,স্যালমন মাছে, শিম, পালং শাক, আলমন্ড বাদাম, মিষ্টি আলু, বিভিন্ন ডাল ও সবুজ শাকসবজি থেকে।
কতটুকু দরকারঃ
একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য দৈনিক যে পরিমাণ ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম প্রয়োজন তা নিম্নে দেওয়া হল।
ভিটামিন ডিঃ
৫ মাইক্রোগ্রাম (FAO/WHO)
ক্যালসিয়ামঃ
১ গ্রাম (FAO/WHO)


No comments

Theme images by rajareddychadive. Powered by Blogger.