ডাবের পানির হরেক রকম গুণাগুণ
এখন সময় গ্রীষ্মকাল আর গ্রীষ্মকাল মানেই তাপদাহ। এই তাপের কারণে ঘামের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে উপকারি খনিজ লবণ বের হয়ে যায়। ফলে শুধু পানি পান করে এই শূন্যতা পূরণ করা সম্ভব নয়। তাই এক্ষেত্রে শরীরের পানিশূন্যতা এবং বিভিন্ন খনিজ লবণের ঘাটতি পূরণে ডাবের পনি সবচেয়ে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয় বহুবিদ কারণেই ডাবের পানির খুবই নামডাক রয়েছে এবং গরমের সময় এর চাহিদাও বেড়ে যায় বহু গুনে। তাহলে আর দেরি না করে এখনই ডাবের বিভিন্ন ধরনের গুনাগুনগুলো জেনে নিই।
১. পানিশূন্যতা পূরণঃ ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানি শূন্যতা পূরনে ডাবির জুড়ি নেই। ডাবের ঠান্ডা পান একদিকে যেমন পানি শূন্যতা পূরন করে অন্যদিকে মনকে প্রশান্ত করে তোলে।
২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ ডাবে বিভিন্ন ধরনের খনিজ লবণ যেমন ক্যালসিয়াস, লৌহ, জিংক, পটাশিয়াম রয়েছে যা শরীরের ইলেট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রেখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
৩. ত্বকের যত্নঃ ডাবের পানি করলে ত্বকের সজীবতা বৃদ্ধি পায় এবং স্যানটানের সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।ডাবের পানিতে আছে অ্যান্টিফাঙাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ যা ত্বকের ইনফেকশনও কমাতে সাহায্য করে।এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে ভেতর থেকে তরতাজা রাখে, ত্বক আস্তে আস্তে উজ্জ্বল হয় এবং ত্বকের ক্যান্সারও প্রতিরোধ করে।
৪. কিডনি রোগ প্রতিরোধঃ ডাবের পানি নিয়মিত পান করলে তা কিডনি রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। অপরদিকে যদি কারো কিডনি রোগ হয়েই যায় তবে ডাবের পানি পান করা ঠিক নয় কেননা কিডনি অকার্যকর হলে তা শরীর থেকে অতিরিক্ত পটাশিয়াম বের করতে পারে না। তাই ডাবের পানি পান করার পূর্বে এই বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত।
৫. দাতের মাড়ির যত্নঃ ডাবের পানিতে বিভিন্ন ধরনের খনিজ লবণ যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস ইত্যাদি রয়েছে যেগুলো দাঁতের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং দাঁতের মাড়িকে মজবুত করতে সাহায্য করে।
৬. হজম শক্তি বৃদ্ধিঃ ডাবের পানির মধ্য থেকে প্রাপ্ত আঁশ হজম শক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করে থাকে। নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হ্রাস করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-পুষ্টিবিদ মোঃ আকতারুল ইসলাম
No comments